চট্টগ্রাম কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষিপণ্য আমদানি অনুমোদনপত্র বন্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বৃহৎ কৃষিপণ্য আমদানিকারকসহ ব্যবসায়ী সংগঠন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএমসিসিআই)।
সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের নীতি সহায়তার অংশ হিসাবে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ আকর্ষনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ২০০২ সাল থেকে চলমান অনুমোদনপত্র জারি রহিত করে পুনরায় রাজধানী ঢাকামুখী করার উদ্যোগ অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। চট্টগ্রামের গুরুত্ব কমিয়ে আনা সরকারি নীতির পরিপন্থি।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমান উল্লেখ করেছেন আমদানিকারক চট্টগ্রাম কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে দুই এক দিনের মধ্যে অনুমতিপত্র নিত, যা ঢাকা থেকে আনতে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লেগে যাবে। ফলে ব্যবসা ব্যয় আরও একদফা বাড়বে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এতদঞ্চলে আমাদের ব্যবসা ব্যয় এমনিতেই সর্বোচ্চ বলে বিবেচিত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে চলমান প্রক্রিয়ায় আমাদের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করেছে। এমতাবস্থায় পুনরায় আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি চলমান সরকারি নীতির বরখেলাপ। নানা জটিলতার মাঝে ঢাকা থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ করে এলসি করার ক্ষেত্রে ব্যাংকে সময়ক্ষেপণ অগ্রহণযোগ্য। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছায় কৃষিপণ্য আমদানিকারক ক্ষতিগ্রস্ত হলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাঁধে ব্যয়ভার বৃদ্ধি পাবে যা সরকার এবং ব্যবসায়ী কারো কাম্য নয়। সকল বিবেচনায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি আমাদের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর করতে করবে।
খলিলুর রহমান আশা করেন সরকারের নীতি নির্ধারনী মহল বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে চলমান ব্যবসা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নেবেন। বিষয়টি সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং গতিশীল নেতৃত্বের বহি:প্রকাশে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।